২০১৫ সাল থেকে ভারতে অবস্থান করলেও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ৷ বর্তমানে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি৷
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে ২০১৫ সালের ১১ মে পাওয়া গিয়েছিল আলোচিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে৷ তার দুই মাস আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকায় হঠাৎ নিখোঁজ হন তিনি৷ সেই সময়কার কথা জানতে চাইলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা আমাকে চোখ বেঁধে এবং হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়৷ তার পর প্রায় ৬১ দিনের মতো একটা গোপন জায়গায় আমাকে আটক করে রাখে৷’
‘এর পর ২০১৫ সালের ১০ মে তারা দুপুরের দিকে চোখ বাঁধা এবং হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় একটি গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে রওয়ানা দেয়,’ যোগ করেন আহমেদ৷ তিনি দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে শিলংয়ে রেখে এসেছিল৷
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ৷ সম্প্রতি সেখানকার একটি আদালত সেই মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে এবং তাকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে৷
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের গোহাটিতে একটা সহকারী হাইকমিশন আছে৷ আমি সেখানে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার জন্য একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা ট্রাভেল পাস পেতে আবেদন করেছি৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রকম সাড়া পাইনি৷’
বর্তমানে শিলংয়ে অবস্থান করা এই রাজনীতিবিদ জানান, ভারতে নিজের খরচেই চলছেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা মাঝেমাঝে সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷
যে কোনো পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশে ফিরে আসতে আগ্রহের কথা জানিয়ে আহমেদ বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ) আমাকে ট্রাভেল পাস ইস্যু না করে, সেক্ষেত্রে কিছু করা যায় কি না দেখা যাবে৷’
ভারতে অবস্থান করলেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ৷ দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন৷ দেশে ফিরেও রাজনীতি অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য৷
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।